বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের শিবাতলী পাড়ায় গত বুধবার গভীর রাতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একটি বসতবাড়ি ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় বসত বাড়ির বাসিন্দা মার্মা ও বাঙ্গালী ২টি পরিবারের ৬ সদস্যকে মারধর করা হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জমিজমার বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা। তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওযা হবে।
সরেজমিন জানা গেছে, চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের শিবাতলী পাড়ায় জায়গা জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল সোহরাব হোসেন গং এবং মোঃ হোসেন ও ঞোঅং মার্মাদের মধ্যে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মঝে মামলা-মোকাদ্দমা চলছে। বিরোধীয় জায়গার একটি বসতঘরে মো. হোসেনের পরিবার ও ঞোঅং মার্মার পরিবারের লোকজন বসবাস করে আসছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন জানান, সোহরাব হোসেন ও তার ভাইয়েরা ঞোঅং মার্মা ও মো. হোসেন পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আহতদের আত্মীয় মো. হারুন ও মংচিং মার্মা জানান, স্থানীয় সোহরাব হোসেন, আমির হোসেন এই তিন ভাইদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল বুধবার রাত দুইটার সময় বাড়ি ঘর ভাংচুর ও ঘরের বাসিন্দাদের মারধর করেছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ঞোঅং মার্মা (৬০), মিসেস চাইনুমে মার্মা (২৫), আপ্রুচিং মার্মা (৩০), মো. হোসেন (৪৫), মিসেস কুসুম বেগম (৪০) ও মংচেনু মার্মা (৩৫)। আহতদের গুরুতর তিনজনকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বাড়িটিতে একটি মার্মা ও একটি বাঙ্গালী পরিবার বসবাস করত। ঘর ও জায়গার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সোহরাব হোসেনদের মাঝে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমাও চলছে।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত আমির হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে ঞোমং মার্মা ও মো. হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। জায়গার মালিকরা আমরা। কিন্তু দখলে আছে অন্যরা। তিনি বলেন, বুধবার রাতে ঘরটিতে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি, তবে আমরা হামলা করিনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান জানান, ঘটনার পর আমি ঘনটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দরা এ ঘটনার জন্য সোহরাব হোসেনদের দায়ী করছে। আহতদের লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আলীকদম থানার সেকেন্ড অফিসার খাইরুল ওয়ারা রবিন জানান, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। এ জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। এ নিয়ে স্থানীয় মীমাংসার জন্য শুক্রবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
পাঠকের মতামত: